সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতিঃ
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতিঃ
==================================
💥বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেয়া হয়।
📌যেখানে শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত একটি পরীক্ষা ও নিয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
📌এ বছরের শুরুতেই আসবে ১০০০+ পদের জন্য সার্কুলার।তাই এই পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য প্রস্তুতি শুরু করুন এখন থেকেই।
📌দুই ধাপে মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে।
📌লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে থাকেন পিএসসির বিজ্ঞ সদস্যগণ।
-----
💥লিখিত (এমসিকিউ) ও মৌখিক পরীক্ষা পদ্ধতিঃ
______________________________
📌২০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় বাংলা অংশে ৫০টি, ইংরেজি ৫০টি, সাধারন জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী) ৪০টি এবং গণিত ও মানসিক দক্ষতা থেকে ৬০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন থাকবে।
📌প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর কাটা যাবে।
📌অর্থাৎ দুইটি উত্তর ভুল হলেই প্রাপ্ত নম্বর থেকে ১ নম্বর কাটা যাবে।
📌এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।
📌লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর যোগ করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
📌২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারিতে ১৩০ থেকে ১৪০ নম্বর পাওয়া মানে সেইফ জোনে থাকা।
📌তবে এটা নির্ভর করে প্রশ্নের মানের উপর আর পিএসসির সিদ্ধান্তের উপর। ভাইভায় পাস মার্ক ২০।
📌যেহেতু, এখানে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর যোগ হয় তাই যত বেশি নম্বর তোলা যায় ততই ভালো।
_______
💥কি পড়বেন ও কিভাবে পড়বেন:
_____________________________
📌শুরুতে ৩৫তম থেকে ৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত সকল প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো বুঝে বুঝে সমাধান করুন।
📌পাশাপাশি, ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সরকারি কর্ম কমিশনের অধীনে যতগুলো পরীক্ষা হয়েছে সেই প্রশ্নগুলো খুব ভালভাবে দেখে নিন।
📌এতে পিএসসির প্রশ্ন সম্পর্কে একটা ধারনা হবে। পরীক্ষায় এসব প্রশ্ন থেকে অনেক প্রশ্ন হুবুহু কমনও পাবেন।
------
💥বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতিঃ
___________________
★★★বাংলা:
📌বাংলা অংশে ব্যাকরণের ওপর বেশি জোর দিতে হবে। অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড প্রণীত ব্যাকরণ বইয়ের সব অধ্যায় উদাহরণসহ ভালোভাবে পড়তে পারেন।
📌ব্যাকরণে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, সন্ধি বিচ্ছেদ, কারক, বিভক্তি, উপসর্গ, অনুসর্গ, ধাতু, সমাস, বানান শুদ্ধি, পারিভাষিক শব্দ, সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, বাগধারা,এককথায় প্রকাশ থেকে প্রশ্ন আসে।
📌সাহিত্য অংশে জানতে হবে কবি সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্ম ও জীবনী সম্পর্কে। এসএসসি বোর্ড বইয়ের লেখক পরিচিত ও কবি পরিচিতি অংশটুকু পড়তে হবে।
📌পিএসসি নির্ধারিত এগোরো জন সাহিত্যিক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে রাখা ভালো। সাহিত্যের যুগ, গল্প বা উপন্যাসের রচয়িতা, ছদ্মনাম, বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম, কবিতার লাইন উল্লেখ করে কবির নাম থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।
📌মোটকথা বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে খুব ভাল ধারণা থাকতে হবে।
------
★★★ইংরেজি:
📌ইংরেজি গ্রামারের Right forms of verb, Tense, Number, Gender, Preposition, Parts of Speech, Voice, Narration, Spelling, Sentence Correction- থেকে প্রশ্ন আসে।
📌যে কোন গ্রামার বই থেকে গ্রামারের এই টপিকসগুলো উদাহরণসহ পড়ুন।এক্ষেত্রে একটি অনন্য সহায়ক হতে পারে এম আই প্রধান মুকুল স্যারের Classroom English Grammar বইটি।
📌এছাড়াও মুখস্থ করতে হবে Phrase and Idoims, Synonym, Antonym।
📌পাশাপাশি ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদও পড়তে হবে।
📌ইংরেজি সাহিত্য থেকে লেখকদের নাম, তাদের যুগ, তাদের বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম, কিছু লিটারেরি টার্মস, কে কে নোবেলজয়ী, কোন নাটক, উপন্যাস বা কবিতা কে লিখেছেন এবং এসব নাটক বা উপন্যাসের বিখ্যাত লাইন ও বিভিন্ন চরিত্র থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।
📌 ইংরেজি সাহিত্য সম্পর্কে বেসিক ধারণা নিবেন।
------
★★★গণিত:
📌গণিতে মার্কস পাওয়া তুলনামূলক সহজ। প্রতিদিন কমপক্ষে তিন ঘণ্টা গণিত প্র্যাকটিস করা দরকার।
📌পাটিগণিতের পরিমাপ ও একক, ঐকিক নিয়ম, অনুপাত, শতকরা, সুদকষা, লাভক্ষতি, ভগ্নাংশ থেকে প্রশ্ন আসে।
📌বীজগণিতের সাধারণ সূত্রাবলী থেকে প্রশ্ন থাকে।
📌 মুখে মুখে ও সূত্র প্রয়োগ করে সংক্ষেপে ফল বের করার প্র্যাকটিস করতে হবে, যাতে প্রশ্ন দেখামাত্রই সূত্র প্রয়োগ করে ফল বের করা যায়।
📌জ্যামিতির জন্য ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বর্গক্ষেত্র, রম্বস, বৃত্ত ইত্যাদির সাধারণ সূত্র ও সূত্রের প্রয়োগ প্রাকটিস করবেন।
📌মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ্যবই যেমন অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণির গণিত বই অনুসরণ করলে ভালো হবে। এছাড়া বাজারে গনিতের অনেক বই পাওয়া যায়। একটি বই ভাল করে অনুশীলন করুন।
-----
★★★মানসিক দক্ষতা:
📌মানসিক দক্ষতা থেকে ভাষাগত যৌক্তিক বিচার, সমস্যা সমাধান, বানান ও ভাষা, যান্ত্রিক দক্ষতা, স্থানাঙ্ক সম্পর্ক, সংখ্যাগত ক্ষমতা এবং সম্পর্ক (রক্ত, সময়) ও দিক নির্নয় ক্ষমতা থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।
📌মানসিক দক্ষতার একটি বই নিয়ে বিগত বছরে বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় আশা প্রশ্নগুলো প্রথমে সমাধান করবেন।
📌পাশাপাশি যেকোনো একটা বই থেকে উক্ত অধ ভালভাবে অনুশীলন করলে আশাকরি ভাল মার্কস পাবেন।
-----
★★★সাধারণ জ্ঞান:
📌বাংলাদেশ বিষয়াবলী থেকে প্রশ্ন বেশি আসে।
📌এক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষা, ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ, ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ু, সভ্যতা ও সংস্কৃতি, বিখ্যাত স্থান, বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা, অর্থনীতি, বিভিন্ন সম্পদ, জাতীয় দিবস, বিখ্যাত ব্যক্তির জীবনী থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।
📌আর আন্তর্জাতিক অংশে বৈশ্বিক ইতিহাস, ভূ রাজনীতি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, দেশ, মুদ্রা, রাজধানী, আন্তর্জাতিক দিবস, পুরস্কার ও সম্মাননা, খেলাধুলা ও বিশ্বের চলমান ও সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ থেকে প্রশ্ন থাকে।
📌নবম দশম শ্রেণীর টেক্সট বইয়ের সাথে একটি রেফারেন্স বই বা গাইড বই থেকে এগুলো পড়তে পারেন।
📌সাম্প্রতিক বিষয়ের জন্য মাসিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পড়তে পারেন পাশাপাশি প্রতিদিন পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করতে পারেন।
📌এছাড়াও বিজ্ঞান অংশের জন্য নবম দশম শ্রেণীর সাধারণ বিজ্ঞান বইটি দেখতে পারেন।এ অংশে বিজ্ঞানের বেসিক থেকে প্রশ্ন করা হয়।
📌আর আই সি টি অংশের জন্য নবম দশম শ্রেণীর আইসিটি বইটি বেশ সহায়ক।
📌এ অংশে সাধারণত কম্পিউটারের হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার, প্রোগ্রামিং, কম্পিউটারের প্রজন্ম এগুলো সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়।
✍️পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করুন এবং নিয়মিত পড়াশোনা করতে থাকুন।
✍️সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।❤️❤️
//
সংগৃহীত
.jpg)
Comments
Post a Comment