পড়া মনে রাখার উপায় ও প্রস্তুতি কৌশল
পড়া মনে রাখার কৌশল ও প্রিলি প্রস্তুতি
![]() |
| copyright©pixabay |
Tapan Sarker Raj dada
ASP, Recommended
38 BCS
Merit -32nd
সামনেই ৪৫তম বিসিএস প্রিলি পরীক্ষা। আজকের আলোচনায় ২ টি বিষয় জানাতে প্রচেষ্টা করবো, যা আমি অনুসরণ করেছি।
,,,,,মনে রাখার কৌশল,,,,
আমি মনোযোগ দিয়ে পড়ি, তারপরও মনে থাকে না কেন?
এই প্রশ্নটি আমাদের সকলেরই, আমরা সকলেই চাই আমাদের পড়া বিষয়, শেখা বিষয় যেন মনে থাকে। কিভাবে পড়লে এটা সম্ভব?
সমাধানটা মোটেও কঠিন নয়। এর জন্য প্রয়োজন যথার্থ কৌশল অবলম্বন করা। প্রথমেই বলে রাখি, মানবমস্তি্স্কের ধারণক্ষমতা অপরিমেয়, তবে তার স্মরণ সক্ষমতা নির্ভর করে কতিপয় শর্তের উপর। সাধারণত আমরা যে পড়াটা শিখি তা প্রায় ২৪ ঘন্টা স্মরণে থাকে, তারপর ধীরে ধীরে বিস্মরণ হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে পড়ালেখায় আমরা নিন্মোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করবো,,,,,
১. প্রথমেই একটি পড়ার রুটিন তৈরি করবো
২. একটা নোট খাতা থাকবে যেখানে প্রতিদিনের পঠিতব্য বিষয়গুলোর নাম লিখা থাকবে,
৩. দিনের শুরুতে খাতার উপরে ঐদিনের তারিখ ও বার লিখতে হবে, বামপাশে বিষয় আর একেবারে ডানপাশে রিভিশন লিখতে হবে
৪. রিভিশন এর নিচে আন্ডারলাইন করে লিখতে হবে ৩ টি লাইন, নিম্নের অনুকরণে,
>আগামীকালের বারের নাম
>আগামি সপ্তাহের আজ যে বার তার নাম
>আজ যে তারিখ, আগামী মাসের সেই তারিখ
৫.এখন আজ যা পড়লাম তা খাতার বামপাশে লিখে রাখতে হবে এভাবে, বাংলা পৃষ্ঠা ১-১০
ইংরেজি পৃষ্ঠা ১-৬ ইত্যাদি।
ধরি খাতার উপরে লিখা আছে, ২/৫/২০২০ শনিবার, তাহলে খাতার ডানপাশে লিখা থাকবে এরকম,
>রবিবার
>শনিবার
>২/৬/২০২০
৬. এখন কাল পড়তে বসে শুরুতেই আজ যে সকল বইয়ের যা যা পড়েছি তা রিভিশন দিয়ে রবিবার লিখার উপর ঠিক চিহ্ন দিতে হবে। তারপর আবার নতুন পড়া শুরু।
৭. এভাবে ১ সপ্তাহ পরে, প্রতিদিন ২ ধরনের রিভিশন দিতে হবে, একটা গতকালের আরেকটা গত সপ্তাহের আজকের এই দিনের, অতঃপর ঠিক চিহ্ন দিতে হবে। আর ১ মাস পর প্রতিদিন ৩ ধরনের রিভিশন।
৮. রিভিশনে শুধুমাত্র একবার পড়ে গেলেই হবে। অর্থাৎ, ১ দিনের সমস্ত শিখা বিষয় ৩০ মিনিটেই রিভিশন দেয়া যাবে।
এই প্রক্রিয়া আপাত কঠিন মনে হলেও ১ সপ্তাহ অনুসরণ করলেই খুবই সহজ মনে হবে। আর আপনার শেখা বিষয় আপনার মস্তিষ্কে স্হায়ী হবে, যা আপনি সহজে ভুলবেন না।
অনুসরণ করুন, উপকার পাবেন সুনিশ্চিত।
,,,,,,,,,,প্রিলি প্রস্তুতি,,,,,,,,
সীমাহীন পড়া ও জানার বিষয়! কিন্তু যথার্থ কৌশল অবলম্বন করে এক্ষেত্রে উদ্ধার পাওয়া সম্ভব। আমরা সবাই জানি, প্রিলির মার্ক যোগ হয় না তারপরও এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। কেননা এর মাধ্যমেই লিখিত পরীক্ষায় বসার অনুমতি মিলে। প্রিলির প্রস্তুতি নেয়ার ক্ষেত্রে যে তিনটি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি গত কয়েকদিন, আমি জানি অধিকাংশ পরীক্ষার্থীদের মনেই এই প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খায়।
> কোন কোন বই পড়ব?
>দৈনিক কতঘন্টা পড়ব?
>কিভাবে পড়ব?
প্রথমেই বলে রাখি, একেকজনের সফলতার কৌশল একেকরকম হয়, আর কৌশল যাই হউক দিন শেষে যারা সফল, তাদের কৌশলকে সফলতার কৌশল হিসেবেই গণ্য করা হয়। আমি এখানে আমার অনুসরণ করা কৌশলের আলোকে প্রশ্ন তিনটির উত্তর দেওয়ার প্রচেষ্টা করছি।
>প্রথমেই আসি কোন বই পড়ব এই প্রসঙ্গে। আমি প্রিলির জন্য প্রফেসর 'স এর এক সেট বই কিনেছিলাম, প্রতি মাসের কারেন্ট এ্যফেয়ার্স, সাহিত্য জিজ্ঞাসা বইটি, আর ৩ টি মডেল টেস্ট বই।
>এবার আসি কতো ঘন্টা পড়ব সেই প্রশ্নে। দৈনিক কত ঘন্টা পড়ব, এটি একটি অবান্তর প্রশ্ন। কেননা এটা ছাত্রের ধারণক্ষমতার উপর নির্ভর করে। কেউ আছেন ২ ঘন্টায় যা শিখতে পাড়েন, অন্য কারো তা ৫ ঘন্টা লাগে। তবে শিখতে সবাই পারেন, কেউ অতিদ্রুত, কেউ দ্রুত, কেউ ধীরে। কাজেই দৈনিক কয় ঘন্টা পড়ব, সেটা নির্ভর করছে স্বয়ং পরিক্ষার্থীর শেখার ও জানার সক্ষমতার উপর। এক্ষেত্রে আমি দৈনিক ৩/৪ ঘন্টা গড়ে ৩ মাস পড়েছিলাম। একটা কথা মনে রাখতে হবে, একদিন ১৫ ঘন্টা পড়লাম আর ৩ দিন বই স্পর্শ করলাম না, সেটা মূল্যহীন। নিয়মানুবর্তিতা সফলতার জন্য অত্যাবশ্যক।
>কিভাবে পড়ব। এক্ষেত্রে আমি আজকের আলোচনার প্রথমে উল্লেখকৃত পন্থা অবলম্বন করেছিলাম।
পরিশেষে একটা কথাই বলবো, লক্ষ্য থাকবে সামনে তবে অমূল্য বিদ্যার মূল্য নির্ধারণ করে তা অর্জন করা যায় না।
সকলের জীবনে সফলতার দিনটি আসুক অচিরেই, সেই কামনা করি। ভালো থাকবেন সবাই।

Comments
Post a Comment