ব্যাংক সার্কুলার নিয়ে সমাচার ও প্রস্ততি
ব্যাংক সার্কুলার নিয়ে সমাচার ও প্রস্ততি:
২০২৩ সালে ব্যাংকের বিশাল সার্কুলার , ব্যাংকিং ক্যারিয়ার গড়ার সুবর্ণ সুযোগ
Combined Bank Circular নিয়ে কিছু কথা
-------------------------------
1. Senior Officer: Post: 922
2. Officer General: Post: 2775
3. Officer Cash: Post:2416
এছাড়া সামনে তো আবার সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার হতে যাচ্ছে।
হাতে তিন মাস সময় নিয়ে বসুন। এই তিন মাসের জন্য সব কিছু ভুলে যান। নিজের এবং পরিবারের কথা চিন্তা করে হলেও ভুলে যান। যত প্রকার ডিপ্রেশন আছে তা ভুলে যান। ভুলে গিয়ে পড়তে বসুন। পাশাপাশি কিছু হ্যাবিট গ্রো করতে হবে। নিচের বিষয়গুলো মন দিয়ে পড়ুন।
১। প্রতিদিন কিছু সময় ইংরেজি পত্রিকা পড়ার স্বভাব বানাতে হবে। বেশি গুরুত্ব দিতে হবে অর্থনীতি এবং বিশ্বরাজনীতির বিষয়গুলো। এবং পড়ার সময় দরকারী তথ্য নোট করে নিতে হবে। অবসর সময়ে কেবল চোখ বুলাতে হবে। কোনোভাবেই মুখস্ত করতে যাবেন না। কেবল চোখ বুলাবেন। এটা আপনার মূল প্রস্তুতির একটা বড় অংশ কভার করবে কেননা এতে করে রিডিং হ্যাবিট গ্রো করবে যা আপনাকে রিডিং কম্প্রিহেনশন এবং সামারি রাইটিং এ প্রচুর হেল্প করবে। এছাড়া সুন্দরভাবে ভোকাবুলারি ব্যাবহার করার দিকটি আপনি রপ্ত করবেন যদি মন দিয়ে এই কাজটা করেন নিয়মিত। যেকোনো একটা পেপার মন দিয়ে পড়ুন, আর আমার মতামত চাইলে আমি বলবো ডেইলিস্টার এর অনলাইন ভার্শন। যেখানে মন চায় সেখানে বসেই পড়তে পারবেন। অনুবাদের ক্ষেত্রেও অনেক কাজে লাগবে এই অভ্যাস।
২। নিয়মিত কিছুটা সময় ইংরেজি লিসেনিং এ বিনিয়োগ করবেন। দয়া করে ভাববেন না অযথাই বলছি। এটা একটা এক্সট্রা কনফিডেন্স দেবে আপনাকে। বেশি সময় না, ১৫/২০ মিনিট সময় শুনুন। খুব কাজে লাগবে।
৩। বেশি চিন্তা না করে মন দিয়ে লেখাপড়া করবেন। চিন্তা করে আসলেই কিছু হয় না..........
এবার চলুন, আমরা কীভাবে পড়তে পারি। এবং কী কী বই লাগবে আমাদের এজন্য।
প্রথমেই বুকলিস্ট টা দেখে নিন।
Word Smart part 1 & 2: (এই বইটির ১ম অংশের ২য় অধ্যায় এবং ২য় অংশের ৩য় অধ্যায় এর শব্দগুলো পড়তে হবে। এর বাইরে অন্যকিছু লাগবে না, তবে এই বইটি পড়ার সময় বিগত বছরের প্রশ্নগুলোকে সমাধান করতে হবে। নয়তো প্রস্তুতি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। হয়তো অবাক হবেন, কিন্তু একটা কথা না বললেই নয়, গত সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রিলি এক্সামে কেবল ভোকাবুলারী ভিত্তিক প্রশ্ন এসেছিলো ১২+, তাহলে বুঝতেই পারছেন এই সেকশনের গুরুত্ব কতটা।
আপনার পছন্দ মোতাবেক একটি বিগত বছরের প্রিলি এবং রিটেন প্রশ্ন ব্যাংক। সব বই মোটামুটি একই রকমের পাবেন। তাই নিজের পছন্দ অনুসারে কিনে নেবেন।
গণিতের জন্য আগারওয়াল এর বইটাই আমার পছন্দ। কেননা এই বইটিই মন দিয়ে পড়তে পারলে আপনার একইসাথে প্রিলি এবং রিটেন ম্যাথ এর প্রস্তুতি হয়ে যাচ্ছে। তবে অনেক ম্যাথ দেয়া আছে, তাই অনেকেই এই বইটা হাতে নিতে ভয় পায়। এক্ষেত্রে একটা আশার কথা শুনাচ্ছি। এই বইয়ে মূলত একই ধরনের ম্যাথ বারবার দেয়া আছে যে কারণে আপনি চাইলে একই ম্যাথ বারবার করার প্রাক্টিস হিসেবে এই বইটি নিতে পারেন।
ক্লিফস টোফেল: গ্রামার এর বেসিক জানার জন্য এই বইটি যথেষ্ঠ আমার মতে। যদিও এডভান্স গ্রামার প্রাক্টিস করার জন্য আরো কিছু জিনিস সাজেস্ট করা হবে যে পরবর্তী আলোচনায় থাকবে। তাই পুরো লিখাটা পড়ুন মন দিয়ে। এর সাথে যে টপিকটি আপনি পড়ছেন, সে টপিকের বিগত বছরের প্রশ্নগুলোকে সমাধান করে নেবেন। তবে হ্যাঁ, কিছু বিষয় কেবল ক্লিফস টোফেল থেকে হবে না, যেমন appropriate preposition এই টপিকটি আরেকটু ভালোভাবে পড়তে হবে এবং ভয়েস চেঞ্জ ও ডিরেক্ট এবং ইনডিরেক্ট স্পিচ এর প্রশ্ন গুলো ভালো ভাবে দেখতে হবে। কেবল এসব শেষ করে পারলে Barron’s SAT এর ২৩ তম এডিশন থেকে মডেল টেস্ট গুলোর সমাধান করে নেবন। যদি না পারেন সময় বের করতে, তাহলে আপনি বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করে যান, এতেও কাজ হয়ে যাবে।
বিদ্রঃ বাংলা, সাধারণ জ্ঞান এবং কম্পিউটার এর জন্য বিগত বছরের বিভিন্ন প্রকারের এক্সাম এর প্রশ্নগুলোই চলবে তবে হ্যাঁ, নিয়মিত আপডেটেড হতে হবে। সত্যি বলতে ব্যাংকের বাংলাতে অনেক সময় এমন কিছু প্রশ্ন আসে, যা কোনোভাবেই উত্তর করা যায় না এমসিকিউতে। এই রকম কয়েকটা প্রশ্নের জন্য আপনাকে সিলেবাস বড় না করটাই ভালো, তাইনা? এবার চলুন, মূল আলোচনায় আসি।
পড়াশোনা করতে হবে নিয়মিত।
কিছু বিষয় ভুলে যাবেন না। যদিও বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির প্রশ্নের ধরন বিভিন্ন রকম হয় কিন্তু এজন্য ফ্যাকাল্টি ভিত্তিক চিন্তা করে বসে থাকবেন না, কেননা, একটা উদাহরন দিচ্ছি। ধরুন, ক ফ্যাকাল্টি এক্সামে ইংরেজি অংশে সাহিত্য দিতে পছন্দ করে কিন্তু খ ফ্যাকাল্টি করে না। এর মানে এই না যে খ ফ্যাকাল্টি সাহিত্য অংশ থেকে প্রশ্ন করবে না। তাই ফ্যাকাল্টি এর পিছনে না ছুটে সামগ্রিকভাবে ভালো প্রস্তুতি নিন। এবং একটা কথা মনে রাখবেন, ইংরেজি সাহিত্য পড়তে গিয়ে এমন ভাবে পড়বেন না, যে অন্য বিষয় গুলো গুরুত্ব কম পাবে। এমন হতেই পারে যে এমন একটা প্রশ্ন দিয়েছে এর নাম হয়তো আপনি কোনোদিন শুনেন নি, বিশ্বাস করুন, এইটা ৯৯% ক্যান্ডিডেট পারবেনা, তাই আপনি সেই একটা প্রশ্নের জন্য মাথা নষ্ট করতে যাবেন না।
একটা জিনিস মনে রাখবেন প্রিলি কেবল পাশ মার্ক পাওয়ার এক্সাম। এখানে এর বেশি দরকার নেই আমাদের। এবং ব্যাংকের এক্সাম, সেটা রিটেন বা প্রিলি যাই হোক না কেন, অনেকটা টি-২০ খেলার মতো। দুই একটা ওভার এখানে যেমন পুরো খেলা পরিবর্তন করে দিতে পারে, তেমন দুই ঘন্টার রিটেন এক্সামে সব কমন পেলেও আপনি নিজের স্ট্রাটেজীর ভুলে, বুঝতেই পারছেন কী করতে পারেন। তাই এবার চলুন, রিটেন নিয়ে কথা বলা যাক।
দেখুন, ব্যাংকের প্রিলি হওয়ার পর রিটেন এক্সাম নিতে খুব বেশি সময় দেয়া হয় না। এজন্য প্রিলির সাথে রিটেন প্রস্তুতিটাও সেরে ফেলতে হবে।
লিখিত যেকোনো একটি প্রশ্ন হাতে নিলেই দেখতে পারবেন, মোট ২০০ মার্কের রিটেন এক্সাম হয়ে থাকে, যেখানে সময় বরাদ্দ থাকে ২ ঘন্টা। চিন্তা করলে মনে হবে অনেক সময়, কিন্তু লিখতে গেলে আসলেই সময় পাওয়া যায় না। তাই ব্যাংক রিটেন কে আমরা বলে থাকি, টাইম ম্যানেজম্যান্ট এর পরীক্ষা। কিভাবে এই পরীক্ষায় পাশ করা যায়, এই নিয়ে আমাদের আজকের এই আলোচনা। একটু খাতা কলম নিয়ে বসতে পারেন। আশা করি, একটা পূর্ণ গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করবো।
প্রথমেই বলি, রিটেনের কাট মার্ক নিয়ে। যেহেতু ভাইভাতে মাত্র ২৫ মার্ক, তাই বলা যায়, রিটেনে এগিয়ে থাকলে ভাইভাতে আপনি এমনিতেই এগিয়ে থাকবেন। কিন্তু কত মার্ক পেলে আপনি নিরাপদ আছেন বলে ভাবতে পারেন। এই বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা খুব কঠিন। কারণটা নিচে ব্যাখা করছি।
এখানে ভাইভাতে আপনি ১৫-১৮ মার্ক পাবেন ধরে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
১। ৮ ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এক্সামে পদ ছিল ১২২৯ টি। ১৩০-১৩৫ ছিল একেবারে নিরাপদ স্কোর। কারণ পদ অনেক।
২। কিন্তু রুপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ২৮৩ পদের নিয়োগে ১৫০+ না পেলে কোনোভাবেই চান্স পায় নি কেউ কারণ এখানে আবার কোটা প্রয়োগ হয়েছিল।(আমার ব্যক্তিগত মতামত, ভুল হলেও হতে পারে)
৩। বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসারে অনেকে ৩০-৪০ মার্ক উত্তর না করেও ২ ম্যাথ দিয়ে রিটেনে টিকেছে।
৪। এডি (বাংলাদেশ ব্যাংক) এ পদ ছিলো ১৮৮ টি এবং ১২০ ছিলো খুব ভালো মার্ক কেননা এখানে সাধারন জ্ঞান দিয়ে প্রশ্নে একটা ব্যাপক চেঞ্জ এসেছিলো, যে কারণে আমার মতে কাট মার্ক কিছুটা কম হয়েছে।
বুঝতেই পারছেন যে এক্সামের কাট মার্ক ভিন্ন হয় নানা কারণে। যেমনঃ
১। প্রশ্নের ডিফিক্যাল্টি লেভেল।
২। পদের সংখ্যা।
৩। কী ধরনের ক্যান্ডিডেটগণ এক্সাম এ বসেছেন। যেমন রুপালীর ২৮৩ পদের পরীক্ষাতে সবাই একেবারে সিনিয়র ক্যান্ডিডেট ছিলো। একটু এর ইতিহাস টা ঘাটলেই জানতে পারবেন। প্রশ্নটাও তুলনামূলকভাবে সহজ হয়েছিলো।
তবে মোটামুটি ৫০০ পদ এর যেকোনো এক্সামে ৬০% মার্ক খুব ভাল স্কোর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সামের ক্ষেত্রে ৬৫% মার্ক খুব ভাল একটা স্কোর।
এই বিষয়টি সেট করে এক্সাম হলে বসতে হবে।
এবার দেখা যাক, মার্ক তুলবেন কোন জায়গা থেকে। আর মার্ক ছাড়তে হবে কোন জায়গা থেকে। উপরের চারটি এক্সামই আমি দিয়েছি, এবং চান্স পেয়েছি। তাই আমি আমার চার ধরনের অভিজ্ঞতা থেকে আমার স্ট্রাটেজী টা শেয়ার করছি।
প্রথমেই দেখুন, আমরা কোন জায়গাতে সবচেয়ে বড় ভুল করি।
১। আমরা প্যাসেজ এবং এপ্লিকেশন এ তেমন গুরুত্ব দেই না। তাই এখানে আমরা এভারেজ মানের লেখা লিখে ৫৫-৬০% মার্ক পেয়ে থাকি। কিন্তু ঠিক মতো লিখতে পারলে আপনি কমপক্ষে ৮০% মার্ক তুলতে পারবেন। যা আপনাকে সবার চাইতে কমপক্ষে ১০-১২ মার্ক এগিয়ে রাখবে আর এই জন্য আপনি একটা ম্যাথ যদি ভুল করেও বসেন, তাঁর জন্য একটা ব্যাক আপ পাবেন। যেমন বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসারে অনেকেই ২/৩ ম্যাথ করে রিটেনে টিকেছে। তাই সবার আগে খুব ভাল ভাবে এই দুইটা বিষয় বুঝে নিতে হবে। বিশেষ করে এপ্লিকেশন টা খুব ভাল ভাবে বুঝে নিতে হবে। যেমন ধরুন, এর রেফারেন্সিং, প্রতিষ্ঠানের সিল বা প্যাড, তারিখ দেখার নিয়ম কানুন ইত্যাদি। কেবল কাকে লিখতে হবে এটা সঠিক ভাবে বুঝতে না পারার কারনে, আমার মনে হয়, অনেক সময় ভালো লিখেও ভালো মার্ক পাওয়া যায় না। আরো বিস্তারিত লিখবো এটা নিয়ে।
২। এবার আসি, ফোকাস রাইটিং এর ক্ষেত্রে। সবাই বলেন দাদা, অনেক লিখি, কিন্তু মার্ক পাই না। সত্যি বলতে আমি এত বেশী লিখার পক্ষে না। কম লিখব কিন্তু একেবারে প্রফেশনাল ভাবে লিখব। So that, লেখা দেখেই লেখার মান বুঝতে পারেন, যিনি খাতা দেখছেন। এতে করে আপনি গতানুগতিক লিখা তে ৫৫% মার্ক পেলে প্রফেশনাল ভাবে কম লিখলেও ৬৫% মার্ক আশা করতে পারেন। যেমন নিচের লেখা দুইটি দেখুন।
ধরা যাক, আপনাকে বলা হয়েছে, আমাদের দেশের অর্থনীতি নিয়ে একটা বাক্য লিখতে। যদি আপনি নিচের মতো একটা বাক্য লিখে থাকেন,
“The economy of Bangladesh has been growing fast.”
এটা না লিখে যদি নিচের মতো করে লিখেন? তাহলে?
“The 39th largest economy, the economy of Bangladesh – classified among the Next Eleven emerging market middle income economies – has experienced a tremendous growth over the previous decade as investment opportunity along with infrastructure has been diversified.”
এতো বড় বাক্য লিখতে বলছি না। যতটা সম্ভব প্রফেশনাল বাক্য লিখার ট্রাই করুন। এতে করে কম লিখেও আপনি ভালো মার্ক পেতে পারেন। এটা লিখতেই হবে তা কিন্তু আমি বলছি না। কিন্তু আমি এটা প্রয়োগ করে উপকার পেয়েছি।
তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে। কমপক্ষে ২ পেজ লিখবেন প্রতিটা টপিকের উপর এবং লেখায় যেন প্রচুর ডাটা থাকে, যার জন্য কমপক্ষে আরো অর্ধেক পেজ রেফারেন্স দিতে হয়। দেখবেন আপনার লেখার মান এমনিতেই ভাল হয়েছে। আমি এই কাজটা করেছি উপরের সবগুলো এক্সামেই।
৩। অনুবাদের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য। আমরা যে ভুলটা সবাই করি তাহলো গতানুগতিক ভাবে অনুবাদ করা। দয়া করে সবাই যেভাবে অনুবাদ করছে, সেভাবে অনুবাদ না, কিছুটা ভিন্নতা রেখে অনুবাদ করুন। যেমনঃ
“সম্প্রতি বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে।“ এটার অনুবাদ করতে গেলে সবার আগে মাথায় আসবেঃ recently Bangladesh has progressed a lot. তাইনা? কিন্তু একটু পত্রিকা পড়ার ভালো অভ্যাস থাকলে আপনি নিচের মতো অনুবাদ করতে পারবেন।
Bangldesh has made a significant headway recently. এই অনুবাদের অর্থগত ভাবের দিকেও বেশ কিছু পার্থক্য আছে।
তাই বার বার বলছি গতানুগতিক অনুবাদ থেকে বের হয়ে এসে একটু ভিন্নতার দিকে যান। একটা ভালো মার্ক এখানেও পাবেন।
৪। এবার আসি ম্যাথ নিয়ে। এখানে একটা মজার খেলা হবে। যদি আর্টস ফ্যকাল্টি , বি আই বি এম এফ বি এস বা আইবিএ প্রশ্ন করে, ম্যাথ খুব বেশী কঠিন দেবে না, কারণ তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চেয়ে থাকে যে খেলাটা হবে পুরো ২০০ মার্কের। তাই ম্যাথ সমাধানে খুব বেশী সমস্যার মুখোমুখি হবেন না। কিন্তু অনেক সময় একটা বড় বা বিশাল ক্যালকুলেশন এর ম্যাথ দিতে পারে, যা করতে গেলে পুরো এক্সাম টাই নষ্ট হবে। এই রকম ম্যাথ পেলে আগেই এড়িয়ে যাবেন। কেবল সময় পেলেই এই ধরনের ম্যাথ দেখবেন। যেমন ২০১৮ এর এডি এবং ২০২০ এর বাংলাদেশ ব্যাংক এর অফিসারের প্রশ্ন দেখলেই বুঝতে পারবেন। কিন্তু আহসানউল্লাহ প্রশ্ন করলে একটু বেশী জোর দিতে হবে ম্যাথে, কেননা তারা প্রায় ৭০ বা ৯০ মার্ক পর্যন্ত ম্যাথ দিতে পারে। তবে এক্ষেত্রে সাজেশন হল ম্যাথ দেখেই বুঝতে হবে কোন ম্যাথ গুলো সবাই পারবে। সেগুলো কোনভাবেই না পারলে হবে না। ধরুন ৭ টি ম্যাথে ৫ টি ম্যাথ যদি সবাই পারে, তবে এই ৫ টি ম্যাথ আপনাকে পারতে হবেই কিন্তু বাকি ২ টি ম্যাথের মধ্যে কম পক্ষে ১ টা ম্যাথ পারলেই আপনি জিতে গিয়েছেন। কারণ পুরো এক্সাম টা এখানেই নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে। তবে লেখার মান ভাল হবে ৫ ম্যাথ দিয়েও চাকুরি পাওয়া যাবে। আশা করি খেলাটা বুঝতে পেরেছেন।
তবে এই জন্য কি কি ধরনের ম্যাথ প্রাক্টিস করতে হবে এই নিয়ে পোস্ট দেব। আজকে কেবল এক্সাম স্ট্রাটেজির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করলাম।
৫। এবার কথা বলা যাক সাধারন জ্ঞান নিয়ে। বর্তমানের যে ট্রেন্ড তাতে এখানে কিছুটা সময় দিতেই হবে। চোখ কান খোলা রাখবেন। তাহলেই হবে। কিন্তু দয়া করে বানান ভুল করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এর সাথে কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন।
১। ৯৫% ক্যান্ডিডেট এমনিতেই বাদ যাবে। মূল প্রতিযোগিতা হবে বাকি ৫% এর মধ্যে। তাই ক্যান্ডিডেট এর সংখ্যা দেখে ভয় পাবেন না।
২। যাই লিখছেন, কোনো ভাবেই বিতর্কিত কিছু লিখবেন না।
৩। খাতায় খুব বেশী কাটাকাটি করবেন না।
৪। কোনো এক্সট্রা পেজ দেয়া হবে না।
৫। রাফ করলে তা উল্লেখ করে দেবেন।
৬। হাতের লেখা আহামরি সুন্দর হতে হবে না। যাই লিখছেন, দয়া করে এমন ভাবে লিখবেন যেন যিনি খাতা চেক করছেন তিনি বুঝতে পারেন।
এই কথাগুলোর পাশাপাশি আরো কিছু কথা বলছি, এগুলো একান্তই আমার স্ট্রাটেজী। চাইলে অনুসরণ করতে পারেন।
১। কালো এবং নীল কালি ছাড়া অন্য কোনো কালির কলম দিয়ে লিখবেন না। ইনফ্যাক্ট কালো দিয়ে লিখবেন। নীল দিয়ে যেকোনো হাইলাইট করার কাজ সম্পাদন করবেন।
২। ফোকাস রাইটিং এ সর্বমোট ৫/৬ টি রেফারেন্স দেয়া এবং ১ টা গ্রাফ রাখবেন।
৩। অনুবাদে একটু ভিন্ন শব্দচয়ন করবেন।
৪। ফোকাস রাইটিং এ একটা কোটেশন রাখবেন যদি সম্ভব হয়।
৫। সামারি লিখতে গিয়ে নিজের কোনো মতামত দেবেন না। কোনোভাবেই না, না এবং না। বাক্য কপি করবেন না। নিজের ভাষায় লিখবেন।
৬। কে কতকিছু লিখতে পারলো তা ভাববেন না, আপনার লেখার মান আপনাকে এগিয়ে নেবে। আমি সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিটেনে আর্গুমেন্ট মাত্র ২.৫ এ শেষ করেছিলাম। ভগবানের কৃপায় আমি ৫৬ তম হয়েছিলাম। লেখার মান অনেক বড় একটা ফ্যাক্ট। বিগত যতগুলো রিটেন আমি টিকেছি, সবগুলোতেই আমি খুব লিখার চেষ্টা করেছি। তবে আগেই বলেছি ব্যক্তিভেদে পছন্দ ভিন্ন হবে, এটাই স্বাভাবিক।
আজকে এই পর্যন্ত। ভালো থাকবেন।
✍️✍️
Achilice Barnad
MBA(IBA,DU), BBA & MBA (AIS,CU)
Assistant Director (Bangladesh Bank), Recommended
Officer General (Bangladesh Bank)
Former Senior officer (Janata Bank Ltd)
Former Senior officer (Rupali bank Ltd)
Comments
Post a Comment