Translate

পড়া মনে রাখার কৌশল

 পড়া মনে রাখার কৌশল

copyright©pixabay


আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোন কিছু মুখস্ত করাটাকে ভালো ভাবে দেখিনা। আমার মনে হয়, ব্রেইনটাকে অপ্রয়োজনে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ব্যবহারটুকু না করলে, এইটা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যেতো। হ্যাঁ, আপনি হয়তো বলতে পারেন- ব্রেইনের পরিমাণ এতো বেশি যে আমরা এর একটা অংশ মাত্র ব্যবহার করতে পারি। 

কিন্তু আমরা আসলে পারছি না। যেটুকু করছি, ভালো ভাবে করা উচিত। 

এরপরেও যাদের বিভিন্ন কারণে মুখস্ত করার প্রয়োজন তারা নিচের লেখাটা পড়তে পারেন। এটা আমার লেখা না, একটা ফেসবুক গ্রুপ থেকে সংগৃহীত এটা। 


"✅দ্রুত* পড়া মনে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ* ৫টি বৈজ্ঞানিক* উপায়:


👉🎯বিরতি নিয়ে রিভিশনঃ👇🏿

_____________________


★জার্মান মনোবিদ হারমান এবিনঘসের মতে, "যে কোনো কিছু পড়ার এক ঘণ্টা পর সেটির মাত্র ৪৪ শতাংশ আমাদের মনে থাকে।"


★ তাই আমাদের উচিত তাৎক্ষণিক রিভিশন না দিয়ে, একটু বিরতি দিয়ে একই বিষয় আবার পড়া।


★ তাতে পড়া মনে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিরতি দিয়ে বারবার পড়লে যে কোনো পড়াই মনে থাকে অনেক দিন।

 _______


🎯 👉ফাইনম্যান* পদ্ধতিঃ

___________________


★পদার্থবিদ রিচার্ড ফাইনম্যান, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। 


★কোনো কিছু খুব সহজভাবে অন্যকে বোঝানোর পদ্ধতিকে ফাইনম্যান পদ্ধতি বলা হয়।


★ যে কোনো কিছু পড়ার পর তা অন্য কাউকে শেখানোর চেষ্টা করলে সেই পড়া আপনার মনে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। 


★কোনো কিছু শেখানোর সময় আপনাকে সেই পড়াটি নিজের মতো গুছিয়ে সংক্ষেপ করে নিতে হয়; করতে হয় আলোচনাও। যা পড়াটি আপনার মাথায় গেঁথে যাওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ ভূমিকা রাখে।

 ________


🎯 #পোমোডোরো পদ্ধতিঃ

______________________


★পড়াশোনার মাঝখানে মুঠোফোন হাতে নিয়ে ফেসবুক, ইউটিউবে ঢুঁ দেওয়া কিংবা অন্যমনস্ক হয়ে যাওয়া আমাদের এক নিত্য সমস্যা।


★এর ফলে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে এবং পড়া ঠিকমতো না হওয়ায় তা মনে থাকার সম্ভাবনাও বেশ কমে যায়। 


★এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পোমোডোরো পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। এটি মূলত সময় ব্যবস্থাপনার একটি কৌশল।


★ ১৯৮০ সালের শেষের দিকে ফ্র্যাঞ্চেস্কো নামের এক উদ্যোক্তা এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। ইতালীয় শব্দ পমোডোরো অর্থ ‘টমেটো সস’। ফ্র্যাঞ্চেস্কোর টমেটোর আকারের টেবিল ঘড়ি থেকেই মূলত এর নামকরণ। 


★এই পদ্ধতিতে একজন মানুষ মোট ২৫ মিনিট সময় নিয়ে কোনো একটি কাজ করবেন এবং কাজ শেষে ৫ মিনিটের বিরতি নেবেন। 


★ওই পঁচিশ মিনিট নিজেকে অন্য সবকিছু থেকে দূরে রাখতে হবে। আর বিরতির পাঁচ মিনিটকে বেছে নিতে হবে অন্য যে কোনো কাজ কিংবা বিশ্রামের জন্য। 


★এতে করে মূল কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ে, কাজের প্রভাবও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। 


★এই পদ্ধতি পড়াশোনায় প্রয়োগ করলে পড়া হবে আরও কার্যকর, আর মনেও থাকবে লম্বা সময় পর্যন্ত।

 _________


🎯প্রয়োজন পর্যাপ্ত# ঘুমঃ

_____________________


★যুক্তরাষ্ট্রের নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী জেসিকা পেইন এবং তাঁর কয়েকজন সহকর্মী মিলে একটি গবেষণা করেছেন। 


★তাতে জানা যায়, পড়াশোনা শেষে নির্দিষ্ট সময় ঘুমালে তা পড়া মনে রাখায় বেশ সহায়তা করে। 


★তাই লম্বা সময় পড়াশোনার পর কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই।


★ যাঁরা সারা রাত জেগে সকালে পরীক্ষা দিতে অভ্যস্ত, অনেক সময় দেখা যায় তাঁদের পরীক্ষা খারাপ হয়। এ গবেষণা থেকে নিশ্চয়ই এর কারণ বোঝা যায়।

 __________


🎯নেমোনিক পদ্ধতিঃ

__________________


★অনেক ছোট তথ্য মনে রাখার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়। ছড়া, গল্প, ছবি, ইত্যাদির মধ্যে তথ্য যুক্ত করে মনে রাখাকে আরও সহজ করাই হচ্ছে এই পদ্ধতির মূল বৈশিষ্ট্য।


©সংগৃহীত।

Comments

জনপ্রিয় পোস্ট

অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২

বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি কৌশল

বিসিএস আবেদনের যোগ্যতা, সিলেবাস, ক্যাডার,বুকলিস্ট

বাংলা গুরুত্বপূর্ণ বানান : (১০-৪০তম বিসিএস)

অনুবাদের সেরা কৌশলঃ

পড়া মনে রাখার উপায় ও প্রস্তুতি কৌশল

Real BCS Viva

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতিঃ

ব্যাংক সার্কুলার নিয়ে সমাচার ও প্রস্ততি

বাংলা একাডেমি পুরস্কার ২০২২