বিসিএস সিলেবাস, পদ্ধতি ও নম্বর বন্টন
বিসিএস সিলেবাস, পদ্ধতি ও নম্বর বন্টন:
চলুন “বিসিএস” পরীক্ষার প্রতিটি ধাপের পূর্ণাঙ্গ বিসিএস সিলেবাস ও মানবন্টন দেখে নিইঃ
বিসিএস পরীক্ষা ৩ টি ধাপে হয়।
১ম ধাপঃ প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় ২০০ নম্বর থাকে।
২য় ধাপঃ লিখিত পরীক্ষা। ৯০০ নম্বরের এই পরীক্ষায় গড় পাস নম্বর ৪৫০।
৩য় ধাপঃ ভাইভা পরীক্ষা। ভাইভা তে ২০০ নম্বর থাকে।
বিসিএস সিলেবাস
বিসিএস পরীক্ষা সফলভাবে পাস করার জন্য বিসিএস সিলেবাস ভালোভাবে দেখে প্রস্তুতি নিতে হয়। এই পরীক্ষায় নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে প্রিলির দরজা পার হতে হয়। এই প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বিসিএস এর মূল পরীক্ষায় কোন প্রভাব ফেলে না। কোন মতে টিকলেই হয় এই পরীক্ষায়। কারণ এই পরীক্ষার নম্বর লিখিত বা ভাইভাতে কোন কাজে আসে না। এই পরীক্ষায় শুধু প্রার্থীর সংখ্যা কমানো হয়।
বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য শুধু লিখিত এবং ভাইভায় প্রাপ্ত নম্বর গণনা করা হয়। কিন্তু প্রিলিমিনারি পার না করলে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়া যাবে না। আবার লিখিত ছাড়া তো পিএসসিতে (পাবলিক সার্ভিস কমিশন) চা-পান করার সুযোগ পাবেন না!
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিস্তারিত সিলেবাস-
এই পরীক্ষায় মোট ১০ টি বিষয়ে ২০০ নম্বর থাকে।
১।বাংলা ভাষা ও সাহিত্য – ৩৫
২। English Language and Literature – 35
৩।বাংলাদেশ বিষয়াবলি – ৩০
৪। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি – ২০
৫।সাধারণ বিজ্ঞান – ১৫
৬।কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি – ১৫
৭।গাণিতিক যুক্তি – ১৫
৮।মানসিক দক্ষতা – ১৫
৯।নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন – ১০
১০।ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্বঃ) পরিবেশ ও দুর্যোগব্যবস্থাপনা – ১০
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার বিসিএস সিলেবাসঃ
# লিখিত পরীক্ষার বিষয়সমূহ ও নম্বর বণ্টন : মোট নম্বর ৯ ০০
লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ ও প্রফেশনাল ক্যাডারের জন্য ভিন্ন সিলেবাস থাকে। প্রফেশনাল বা টেকনিক্যাল ক্যাডারে; যেমনঃ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার পদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। কেউ ডাক্তার হতে চাইলে ডাক্তারি অতিরিক্ত ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিবেন।
(১) সাধারণ ক্যাডারের জন্য :
(১। বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
২। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
৩। বাংলাদেশ বিষয়াবলি= ২০০ নম্বর
৪। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি= ১০০ নম্বর
৫। গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা (৫০+৫০)= ১০০ নম্বর
৬। সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি = ১০০ নম্বর
(২) প্রফেশনাল বা টেকনিক্যাল ক্যাডারের জন্য :
১। বাংলা প্রথম পত্র= ১০০ নম্বর
২। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
৩। বাংলাদেশ বিষয়াবলি= ২০০ নম্বর
৪। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০ নম্বর
৫। গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা (৫০+৫০)= ১০০ নম্বর
৬। স্নাতকে পঠিত বিষয়= ২০০ নম্বর
প্রতিটি ২০০ নম্বরের পরীক্ষার সময় ৪ ঘণ্টা।
প্রতিটি ১০০ নম্বরের পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা।
লিখিত পরীক্ষায় গড় পাস মার্ক ৫০%। অর্থাৎ ৯০০ নম্বরের মধ্যে সব বিষয় মিলিয়ে ৪৫০ নম্বর পেলেই আপনি ভাইভার জন্য নির্বাচিত হবেন।
তবে কোন প্রার্থী চাইলে একই সাথে সাধারণ এবং প্রফেশনাল ক্যাডারে আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার সময় সাধারণ ক্যাডারের বিসিএস সিলেবাস অনুযায়ী ৯০০ নম্বরের সাথে প্রফেশনাল ক্যাডারের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। অর্থাৎ তখন ঐ প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষায় মোট ১১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিবেন। উভয় ক্যাডারে পাশ করতে হলে ১১০০ নম্বরের ৫০% মানে ৫৫০ পেতে হবে।
ভাইভা পরীক্ষার বিসিএস সিলেবাস ও মানবন্টনঃ
ভাইভা পরীক্ষার নির্দিষ্ট কোন সিলেবাস নেই। ভাইভা বোর্ডে সাধারণত নিজের সম্পর্কে, নিজের জেলা সম্পর্কে, অনার্সে পঠিত বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়।
এছাড়াও সমসাময়িক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। প্রার্থীর প্রদত্ত ক্যাডার পছন্দক্রম থেকে বিভিন্ন ক্যাডার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ভাইভাতে মোট ২০০ নম্বর থাকে। পাশ মার্ক ৫০%। মানে ১০০ পেলেই আপনি ভাইভায় পাশ করবেন।
লিখিত ও ভাইভায় প্রাপ্ত মোট নম্বর অনুযায়ী প্রার্থীদের বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশ করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন।
.jpeg)
Comments
Post a Comment