Translate

বিসিএস ক্যাডার চয়েস বিষয়ে কিছু কথা ও ক্যাডার ভিত্তিক সুযোগ সুবিধা

 বিসিএস ক্যাডার চয়েস বিষয়ে  কিছু কথা

copyright@pixabay



.

বিসিএসে আবেদন করার সময় ক্যাডার চয়েসে অনেক সমস্যা হয়। প্রার্থীরা বুঝেন না কোন ক্যাডার প্রথমে দিবেন। কেনই বা সেটা প্রথমে দিবেন। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে মোট ২৬টি ক্যাডার আছে। কে কোন ক্যাডারে যেতে চান, তার উপর ভিত্তি করে আবেদনের সময়ই প্রত্যেক প্রার্থীকে ক্যাডার চয়েস(Cadre Choice) দিতে হয়। ক্যাডার চয়েস মোতাবেক ভাইভা বোর্ডে প্রশ্ন করেন পরীক্ষকরা।

ধরুন, আপনি প্রথম চয়েস দিলেন- পররাষ্ট্র ক্যাডার। তাহলে ভাইভা বোর্ডে আপনাকে পররাষ্ট্র বা কূটনৈতিক বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে। তাই যেই ক্যাডারে আপনি যেতে ইচ্ছুক এবং যেই ক্যাডার সম্পর্কিত আপনার পড়াশুনা আছে, সেই ক্যাডারকে চয়েস লিস্টে প্রথমে দেয়া শ্রেয়।

চয়েস সবসময় নিজের পছন্দ  অনুযায়ি  দেয়া উচিত। একাধিক ক্রমে ২০ টা ক্যডার চয়েস দেওয়া যায়।

১। এডমিন ক্যডারঃ সবার পছন্দের প্রথম ও দ্বিতীয়তে এটা থাকে। সকল ক্যাডারে এখান থেকে যাওয়া যায়৷ একে মাদার অব অল ক্যাডার বলা হয়। সর্বোচ্চ পদ সিনিয়র সচিব। বিদেশ ভ্রমণ, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনে কাজ করতে পারবেন। বিদেশে উচ্চশিক্ষা, ট্রেনিং সরকারি খরচে করতে পারবেন। গাড়ি, বাংলো সুবিধা পাবেন এবং স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারবেন। এই ক্যাডার পেতে গেলে লিখিততে মোটামুটি ৬৫% মার্ক লাগে।

২। পররাষ্ট্র ক্যাডারঃ চয়েস তালিকায় প্রথমে না রাখলে রাখা আর না রাখা এক কথা। ইংরেজিতে সুস্পষ্ট কথা বলার অভ্যাস রাখতে হবে। শুরুতেই পোস্টিং সচিবালয়ে এবং চাকরি জীবনের ২/৩ অংশ বিদেশে কাটানোর সুযোগ। সচিবালয়ে পোস্টিং হওয়ায় সহকারি সচিব হিসাবে জয়েনিং এবং ডিপ্লম্যাট পাসপোর্ট পাওয়া যায়। বলা হয় ৭০% মতো মার্ক লাগে।

৩। কাস্টমস এন্ড ট্যাক্সঃ কয়েক বিসিএস পরপর নিয়োগ হয়। পদ সংখ্যা বেশী না থাকায় অনেকে ক্যাডার তালিকায় প্রথম দ্বিতীয়তে রাখেন। জেলাভিত্তিক পদ তবে ১০ টা উপজেলা ভিত্তিক পদ আছে। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ অনেক।চাকরির শুরুতে আপনাকে সহকারী কমিশনার (কাস্টমস/কর) পদে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে যোগদান করতে হবে। ৬৩-৬৪% নাম্বার লাগে।

৪। অডিট এন্ড একাউন্টসঃ সর্বোচ্চ পদ কম্পট্রোলার জেনারেল অফ অডিট এন্ড একাউন্টস। সরকারের প্রতিটি বিভাগের কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেন অডিট ক্যাডাররা। শতকরা ৮০ ভাগ পদের পোস্টিং ঢাকা ভিত্তিক। এর শাখা ৩ টি। ১০ বছর পর একবার বিদেশ ভ্রমণ সুযোগ ৬২-৬৩% নাম্বার লাগে।

৫। পুলিশ ক্যাডারঃ পাওয়ার হোল্ড করায় এই ক্যাডারে চয়েস প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়তে থাকে সবার। সাধারণ পুলিশি কাজ ভালো না লাগলে স্পেশাল ফোর্স, এসএসএফ, গোয়েন্দা, র‍্যাব সহ অন্যান্য ফোর্স গুলোতে কাজ করতে পারবেন। সামাজিক অনুষ্ঠানে মর্যাদা, সম্মান, খ্যাতি অন্যদের তুলনায় বেশি পাবেন।

শারীরিক যোগ্যতা চাওয়া হয় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা ছেলেদের আর মেয়েদের ও উপজাতীর একটু কম। জীবনে ৩ বার UN মিশনে পোস্টিং। সর্বোচ্চ পদ আইজিপি। চয়েস অনেক বেশী হওয়ায় প্রায় এডমিনের সমান নম্বর তুলতে হয়।

৬। আনসার ক্যাডারঃ সর্বোচ্চ পদ ডাইরেক্টর জেনারেল। অনেকেই এটাকে রয়েল ক্যাডার বলেন। শুরুতেই বাংলো একাধিক ব্যক্তিগত ফরমায়েশ খাটার জন্য কর্মচারী পাওয়া যায় সাথে গাড়ি। ৬২-৬৩% নাম্বার তুলতে হয়।

৭। রেলওয়ে ক্যাডারঃ রেল সদর তথা জংশনে পোস্টিং। সর্বোচ্চ পদ মহাপরিচালক। বিদেশ ভ্রমণের সযোগ।

৮। সমবায় ক্যাডারঃ জেলা ভিত্তিক পদ। পদোন্নতি মধ্যম। সমবায় বিসিএস ক্যাডার বিভিন্ন সমবায় সমিতির লাইসেন্স প্রদান, বার্ষিক অডিট, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে। সহকারী নিবন্ধক হিসেবে চাকরির শুরুতে যোগদান করতে হয়। জেলা বা বিভাগীয় পর্যায়ে পোস্টিং হয়। ৬০% নম্বর তুলতে হয়। এডমিনের সাথে মার্জ করার আলোচনা চলমান।

৯। খাদ্য ক্যাডারঃ জেলা ভিত্তিক পদ। শুরুতেই টেলিফোন বিল ও গাড়ি পাওয়া যায়। পদোন্নতি মধ্যম। পদ কম থাকায় চয়েস তালিকার মাঝামাঝিতে রাখে সবাই।

১০। তথ্য ক্যাডারঃপ্রচারেই প্রসার বলে একটা কথা আছে। তথ্য ক্যাডাররা সরকারি কাজের তথ্য-উপাত্ত সাংবাদিকদের কাছে পৌছে দেন। চাকরির শুরুতেই সহকারি পরিচালক বা সমমানের পদে যোগদান করতে হয়। এই ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদ- প্রধান তথ্য অফিসার। ৬০% কাছাকাছি নম্বর লাগে।

১১। পোস্টাল ক্যাডারঃ ততটা ইমেজ নেই এ ক্যাডারে। পুরাতন জেলা সদরে পোস্টিং। শুরু থেকেই orderly ও গাড়ি পাওয়া যায়। চ্যালেজ্ঞ কম।

১২। বাণিজ্য ক্যাডারঃ অল্প পরিমাণে পোস্ট থাকে।।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করতে হয়। ক্যারিয়ারের শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী বাণিজ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে যোগদান করতে হয়। এডমিন ক্যাডারের সাথে একীভূত হবার আলোচনা চলমান। 

১৩। পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারঃ পরিবার পরিকল্পনার জন্য সরকারি সব ধরনের প্রোগ্রাম এই বিভাগের ক্যাডাররা করে থাকেন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর বা বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে পোস্টিং হয়। আপনি এই ক্যাডারে নিয়োগ পেলে, জনগনের সাথে মাঠ পর্যায়ে মিশে পরিবার পরিকল্পনার কাজগুলো করতে হবে। ৫৮% নম্বর লাগে।

এছাড়া অন্য ক্যাডার গুলোতে এখন অনেক প্রতিযোগিতা অনেক বেশী তাই সব ক্যাডার চয়েস তালিকায় রাখা 

Comments

জনপ্রিয় পোস্ট

অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২

বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি কৌশল

বিসিএস আবেদনের যোগ্যতা, সিলেবাস, ক্যাডার,বুকলিস্ট

বাংলা গুরুত্বপূর্ণ বানান : (১০-৪০তম বিসিএস)

অনুবাদের সেরা কৌশলঃ

পড়া মনে রাখার উপায় ও প্রস্তুতি কৌশল

Real BCS Viva

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতিঃ

ব্যাংক সার্কুলার নিয়ে সমাচার ও প্রস্ততি

বাংলা একাডেমি পুরস্কার ২০২২